আয়ারল্যান্ডের হাতের নাগাল থেকে ম্যাচ বের করে নিল বাংলাদেশ। চেমসফোর্ডে মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদের বোলিং ঝলকে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে বাংলাদেশ জিতেছে ৪ রানে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল তামিম ইকবালের দল। বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।
২৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭০-এ থামে আয়ারল্যান্ড। শেষ ওভারে ১০ রান ডিফেন্ড করেন হাসান। তুলে নেন দুটি উইকেট। দ্রুত তিন উইকেট তুলে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মোস্তাফিজ, টাইগার বাঁহাতি পেসার নেন ৪ উইকেট। ১০ ওভারেন খরচ করেন ৪৪ রান।
প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি মোস্তাফিজের। তৃতীয় ওয়ানডেতে ফিরেই বাংলাদেশের জয়ে রাখলেন বড় অবদান।
ওয়ানডে সুপার লিগের শেষ ম্যাচ জয়ে রাঙাল বাংলাদেশ। তৃতীয় অবস্থানে থেকে শেষ করল দুই বছরের অভিযান। বাংলাদশের আগে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের শেষটাও ভালো হয়নি। আয়ারল্যান্ডও সে পথ অনুসরণ করল। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর করা ৪৯তম ওভারটি অবশ্য ব্যতিক্রম। ১৪ রান তুলে জয়ের আশা জাগায় দলটি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মোটে ১০ রান। হাসানের দারুণ স্লোয়ারে বিপর্যস্ত আয়ারল্যান্ড নিতে পারে কেবল ৫ রান।
আয়ারল্যান্ডের তিন ব্যাটার ফিফটি করেন। পল স্টার্লিং ৬০, অ্যান্ডি ব্যালবির্নে ৫৩, লরকান টাকার ৫০ রান করেন। এছাড়াও হ্যারি টেক্টর খেলেন ৪৫ রানের দারুণ ইনিংস। সবার প্রচেষ্টা অবশ্য বিফলে গেছে শেষের ব্যাটারদের ব্যর্থতায়।
এর আগে ৭৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। রয়ে যায় ৭টি বল। শেষদিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারেনি সফরকারীরা। অনায়াসেই তিনশ ছোঁয়ার সুযোগ ছিল টাইগারদের সামনে।
চেমসফোর্ডে তামিম ইকবালের অসাধারণ ফিফটি, মুশফিকুর রহিমের লড়াকু ব্যাটিং, মেহেদী হাসান মিরাজের দায়িত্বশীল ইনিংসের পরও থামতে হয়েছে আড়াইশ পেরিয়ে।
৫৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন মুশফিক। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৪৫.৩ ওভারে ২৬১ রান। মি. ডিপেন্ডেবল আউট হওয়ার পর এসেছে মাত্র ১৩ রান।
ওয়ানডে সুপার লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে বাংলাদেশ। চোটের কারণে সাকিব আল হাসান ছিটকে যাওয়ায় অভিষেক হয় পেস অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর। ৩২ বছর বয়সে ওয়ানডে ক্যাপ মাথায় পড়েন রনি তালুকদার। যদিও প্রথম ম্যাচে সফল হতে পারেননি। ১৪ বলে ৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
রানে ফেরেন তামিম ইকবাল। ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন ৮২ বলে। মারেন ৬টি বাউন্ডারি। নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস উভয়ই করেন ৩৫ রান। আগের ম্যাচের ফিনিশার মুশফিক ফিফটির কাছে গিয়ে আউট হন।
মিরাজ ৩৯ বলে ৩৭ রান করে আউট হন। তারপর দ্রুত শেষের উইকেটগুলো হারায় বাংলাদেশ। টেলের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ পায়নি সফরকারীরা।
আয়ারল্যান্ডের পেসার মার্ক অ্যাডায়ার নিয়েছেন চারটি উইকেট। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন ও জর্জ ডকরেল নেন দুটি করে উইকেট।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।